চট্টগ্রামের মুরাদপুর সার্কেল। যানজট এখন প্রাত্যহিক বিষয়। সকাল হতে রাত অবধি চলাচল করে তিন চাকাওয়ালার সিএনজি চালিত ডাকসু। ফিটনেসবিহীন এসব বাহন চালকদের নেই বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স।
স্থানীয় এক বাসিন্দা, সহিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে সংবাদ জগৎ-কে জানান, “ ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। গাড়ির লাইসেন্স নেই। এ সব ডাকসু টহলরত ট্রাফিক সার্জন্টদের সামনে দিয়ে কিভাবে চলাচল করে ?”
এসব তথাকথিত ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত ত্রিযান সাধারণের দুর্ভোগ প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলছেই। মুরাদপুর হতে অক্সিজেনগামী এ ধরনের বাহনের কারণেই গুরুতর রোগীকে দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে থাকতে হয়। অনেক সময় রোগী পথেই প্রাণ ত্যাগ করে।
সংশ্লিষ্ট স্থানের এক ভুক্তভোগী বলেন, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে অবগত আছেন। পুলিশের অভিযান সত্বেও পুনরায় ঐ রুটে বেপোরোয়া গতিতে এ যানগুলো চলতে থাকে। এছাড়া ডাকসু সিএজি’র অধিকাংশ চালক নাবালক। যার দরুন এতে অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
তিনি আরও জানান, “ একবার আমি এক ডাকশু চালক-কে গাড়ির লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন যে ডাকশু এবং ট্রাফিক সার্জন্টদের মধ্যে চুক্তি হয়। এতে তারা এক ধরনের টোকেন পাই। এটি দিয়েই তারা মুরাদপুর-অক্সিজেন রুটে যাত্রী আনা-নেওয়া করে।
সড়কের পাশে নালার কন্সট্রাকশন হেতু এ ধরনের যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মুরাদপুর সার্কেলে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক কর্মকর্তা।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Leave a Reply